HOME | ABOUT US | SERVICES | PRODUCTS | CONTUCT US |
M/S. Zinan Electronics
WELCOME !
Grand welcome to M/S. Zinan Electronics official website. We sell IPS, UPS, Pure Sine Web IPS/UPS, Hybrid Solar Inverter System/Package, On Grid Solar Inverter System/Package, Off Grid Solar Inverter System/Package, Bettery, Solar Panel. Our contuct number +8801720276917 (Bangladesh Service Only)
গবেষণা প্রকল্পের বিষয়—
সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ ও তাপ
গবেষকের নাম: মোঃ রুহুল আমীন
সহকারি অধ্যাপক
চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ
সুপারভাইজারের স্বাক্ষর—
সুপারভাইজারের নাম: মোসাম্মৎ তাহমিনা আক্তার
অধ্যক্ষ
চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ
লাখুটিয়া, বিমানবন্দর থানা, বাবুগঞ্জ, বরিশাল।
তারিখ: ০১/০৪/২০২২
সূর্য থেকে আলো সৃষ্টির রহস্য |
জীবের জন্য আলো বাদ দিয়ে কিছু কল্পনা করা কখোনোই সম্ভব নয়। যে কারণে আদিম মানুষ সূর্যকে মান্ত সবচেয়ে বড় দেবতা হিসেবে। দেবতা যখন থাকতেন অথার্ৎ দিনের বেলায় তারা কিছুকেই পরোয়া করতো না, আর রাতের বেলায় আশ্রয় নিতো গুহায়। আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র হলো সূর্য। এই সূর্য একটি বিশাল পরিমাণ পদার্থের আধাঁর। কারণ সমগ্র সৌরজগতে যে পরিমাণ পদার্থ বিদ্যমান তার ৯৯.৮৬ ভাগ রয়েছে সূর্যের আর বাকি ক্ষুদ্রাংশ রয়েছে সৌরজগতের বাকি সৃষ্টি সমূহে। সূর্যের যে আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় তার সবটাই আসে সূর্যের মূল কেন্দ্রের বাইরে থাকা কয়েকশো কিলোমিটার পুরু গ্যাস থেকে। এই স্তরটিকে বলা হয় আলোকমন্ডল। মূলত পৃথিবী থেকে আমরা এই আলোকমন্ডল দেখি। এই আলোকমন্ডল বিজ্ঞানীরা সূর্যের উপরিতল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, সূর্যের এই আলোকমন্ডল বা উপরিতলের তাপমাত্রা প্রায় ৬,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সূর্যের অভ্যন্তরে মূল কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা প্রায় একশ থেকে দুইশ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের মূল উপাদান হলো হাইড্রোজেন গ্যাস। সূর্যের প্রায় ৭৩ ভাগ হাইড্রোজেন গ্যাসে ভর্তি এবং ২৫ ভাগ হিলিয়ামে ভরা। আর বাকি ২ ভাগে রয়েছে অক্সিজেন, নিয়ন, কার্বন এবং আয়রন। সূর্য থেকে বিপুল পরিমান হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়াম তৈরির মধ্য দিয়েই সূর্যের জ্বালন প্রক্রিয়া চলে। আমরা জানি সূর্য নিজের চারিদিকে প্রবল গতিবেগে ঘোরার পাশাপাশি সমস্ত সৌরজগৎ নিয়ে সেকেন্ডে ১৯.২ কিলোমিটার বেগে মহাশূন্যের ভেতর দিয়ে গমন করে ঘুরতে থাকে। এই সময় মহাকর্ষগত টানের ফলে সূর্যের গ্যাস কনিকাগুলো প্রবলবেগে ছুটে চলার সময় কণিকায় কণিকায় ঘর্ষণের ফলে প্রচন্ড উত্তাপের সৃষ্টি। এই উত্তাপের ফলেই ফিউশন প্রক্রিয়ায় হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস একীভুত হয়ে হিলিয়াম তৈরী ক্ষেত্রে ৪টি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস থেকে ১টি হিলিয়াম নিউক্লিয়াসে রূপান্তর ঘটে। এই নিউক্লিয়াস রূপান্তর প্রক্রিয়ার সময় কিছু পরিমাণ বস্তু খোয়া যায়।
যেমন- ১কিলোগ্রাম হাইড্রোজেন রূপান্তরিত হয়ে ৯৯২ গ্রাম হিলিয়াম তৈরী করে। এই বাকি ৮ গ্রাম যে বস্তু খোয়া যায় তা রূপান্তরিত হয় শক্তিতে। এই শক্তিই হলো সূর্যের আলো। সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে মাত্র ৮ মিনিট লাগে।
সূর্যের এই আলোর মধ্যে তাপ থেকে শুরু করে অনেক কিছু বিদ্যমান থাকে। এভাবেই সূর্যের মধ্যে প্রতি সেকেন্ডে ৪০ লাখ টন বস্তু খোয়া যায় এবং প্রতি সেকেন্ডে ৩.৭ লাখ ওয়াট শক্তি বিকির্ণ হয়। প্রতি সেকেন্ডে সূর্য হতে এই বিপুল পরিমান আলোর খুব নগন্ন পরিমাণ আলো আমরা পেয়ে থাকি। পৃথিবীর যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে সেখানে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান আলো আমরা গ্রহন করি তার পরিমাণ প্রতি সেকেন্ডে সূর্যের উৎপন্ন হওয়া আলোর দুইশো কোটি ভাগের একভাগ। সূর্যের বিকিরণের সঙ্গে আমাদের পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং প্রাণীজগৎ ও উদ্ভিদজগতের সম্পর্ক খুবই নিবীর। এই সূর্যের আলো এবং পৃথিবীর বায়ুমন্ডল জীবন সৃষ্টির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। যে কারণে সর্যের আলোর কাছে আমরা চিরঋণি।
সোলার প্যানেল—
সোলার সেলকে SPV (সোলার ফটোভোল্টিক) সেল বলে । ইহা মূলত: সিলিকন দিয়ে তৈরি। বালুতে থাকে সিলিকন ডাই অক্সাইড। আরও থাকে সিলিকন ও অক্সিজেন। তাই সিলিকনকে আলাদা করার জন্য বালুকে কার্বনের সাথে ১৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করা হয়। এই তাপমাত্রায় বালু থেকে অক্সিজেন আলাদা হয়ে যায় ফলে সিলিকন পাওয়া যায়। কিন্তু সোলার সেল বানানোর জন্য ১০০% সিলিকন প্রয়োজন পড়ে। এজন্য সিলিকন বিভিন্ন ধরণের প্রসেসের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে বেলন আকৃতি ইনোকোড তৈরী করে পরবর্তিতে উক্ত বেলন আকারের ইনোকোড কেটে রেক্টাংগেল বা আয়তকার করে কেটে নেয়া হয়। অতঃপর সিলিকন ইনোকোডকে ১মিটার পাতলা পাতলা করে ফিতা আকৃতিতে কেটে নেয়া হয়। ইহাই সিলিকনের বেসিক ইউনিট। ইহা থেকেই সোলার সেল তৈরি করা হয়। ইহাকে সিলিকন ওয়েফারস বলা হয়। সিলিকন ওয়েফারসকে ধুয়ে মুছে ধুলামুক্ত করা হয়। অতঃপর একটি প্রসেসে সিলিকনের সোলার সেল দিয়ে সোলার প্যানেল বানানো হয়। সোলার প্যানেলে আমরা পাতলা ফিতার মতন সাদা সাদা যে অংশ দেখতে পাই, তাই মুলতঃ সিলিকন। এই সোলার প্যানেলকে আবার মডিউল বলা হয়। মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী রাখার জন্য সোলার প্যানেল তৈরীর কোম্পানী সাতটি স্তরে চিত্রে দেখানো নমূনায় তৈরী করেন, যথা- সোলার সেল, সেলের উভয়পাশে এনকেপসোলেন্ট, গ্লাস, ব্যাকসিট, ফ্রেম, ও জাংশনবক্স দিয়ে তৈরী করে থাকেন। তৈরীর দিক থেকে বাজারে তিন প্রকারের প্যানেল পাওয়া যায় যথা- মনো প্যানেল, পলি প্যানেল ও থিন ফ্লিম বা পাতলা ফ্লিম প্যানেল। উহা আবার দু’টাইপের হয়ে থাকে এন টাইপ ও পি টাইপ। সোলারের প্রতিটি সেল এক ভোল্টের অর্ধেক ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে, দুইটি সেলে এক ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে, এভাবে বাহাত্তরটি সোলার সেল সিরিজ কানেকশনে ছত্রিশ ভোল্ট সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, আবার ছত্রিশটি সোলার সেল সিরিজ কানেকশনে আঠার ভোল্ট সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, তবে কিছু কিছু সোলার কোম্পানি একটি সোলার সেলকে হাফ কাট করে কেটে অংশ করে সিরিজ কানেকশনে সোলার সেল দিয়ে প্যানেল তৈরী করে থাকে তাতেও ফলাফল ভাল পাওয়া যায় তখন একই হিসাবমতে চারটি হাফকাট সোলার সেল সিরিজ কানেকশনে এক ভোল্ট সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, কারণ হলো- দু’টি হাফকাট টুকরা সমান সমান একটি সেল, চারটি হাফকাট টুকরা সমান সমান দু’টি সেল, আর দু’টি সৌর সেল সমান সমান এক ভোল্ট সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে এবং সোলার সেলের ওয়েফারসের ক্ষেত্রফলের পরিমাপের উপর নির্ভর করে এম্পিয়ার পাওয়া য়ায়। অর্থাৎ সোলার সেলের ভোল্ট ও এম্পিয়ার গুন করে সোলার প্যানেলের বিদ্যুৎ ওয়াট পরিমাপ করা হয়। আদর্শ সোলার প্যানেলের ওয়াট তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও পুরুত্বের উপর নির্ভর করে বিধায় নিম্নে কতগুলো প্যানেলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও পুরুত্ব উল্লেখ করা গেল-
ওয়াট | দৈর্ঘ্য | প্রস্থ | পুরুত্ব |
১০০ | ৪০ ইঞ্চি | ২২ ইঞ্চি | ১.৩ ইঞ্চি |
২০০ | ৫৮ ইঞ্চি | ২৭ ইঞ্চি | ১.৪ ইঞ্চি |
৩০০ | ৬৫ ইঞ্চি | ৩৯ ইঞ্চি | ১.৪ ইঞ্চি |
৪০০ | ৭৮ ইঞ্চি | ৪০ইঞ্চি | ১.৪ ইঞ্চি |
৫০০ | ৮৯ ইঞ্চি | ৪৪ ইঞ্চি | ১.৪ ইঞ্চি |
৬০০ | ৯৬ ইঞ্চি | ৪৫ ইঞ্চি | ১.৪ ইঞ্চি |
রুপান্তর—
সৌরশক্তিকে বৈদ্যতিক শক্তিতে রুপান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা ব্যবহারিক জীবনে অনেক উপকৃত হতে পারি। বিদ্যুৎ বা কারেন্টের মধ্যে দু’প্রকারের রুপান্তর ঘটানো হয়। যেমন— এসি কারেন্ট টু ডিসি কারেন্ট, ডিসি কারেন্ট টু এসি কারেন্ট। প্রয়োজন অনুভব করে এ বদলের মাধ্যমে মানুষের ব্যবহার উপযোগী পন্য আরো নিত্য নতুনত্ব সৃষ্টি করে মৃনুষ আরাম বা বিলাস বহুল জীবন—যাপন করছে।
গবেষনায় দেখা যায় যে, সূর্যের আলোতে থাকে প্রোটন। প্রতি সেকেন্ডে ৯.২ x ১০৩৭ টি প্রোটন— প্রোটন শিকল বিক্রিয়া ঘটে।
প্রতিটি বিক্রিয়ায় যেহেতু ৪টি হাইড্রোজেন মিলে একটি হিলিয়াম তৈরী হয় সেহেতু বলা যায়, প্রতি সেকেন্ডে সূর্য ৩.৭ x ১০৩৭টি প্রোটনকে (প্রায় ৬.২ x ১০১১ কিলোগ্রাম) আলফা কণা তথা হিলিয়াম কেন্দ্রিনে রূপান্তরিত করে। সূর্যে মোট মুক্ত প্রোটোনের সংখ্যা প্রায় ৮.৯ x ১০৫৬ টি। হাইড্রোজেনের সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে সংযোজিত ভরের শতকরা ০.৭ ভাগ শক্তিতে পরিনত হয়। হিসাব করলে দেখা যায় ভর— শক্তি রূপান্তরের মাধ্যমে সূর্যে প্রতি সেকেন্ডে ৪২ লক্ষ মেট্রিক টন শক্তি বিমুক্ত হয়। ভর ধ্বংশ হয় না বরং এই ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয় যা বিকিরণ হিসাবে মহাশুন্যে ছড়িয়ে পড়ে। আইনস্টাইনের ভর — শক্তি সমতুল্যতা দিয়ে এটি ব্যাখ্যা করা যায়। তাত্বিক মডেল থেকে দেখা যায় সূর্যের কেন্দ্রে শক্তি উৎপাদনের পরিমান প্রতি ঘনমিটারে ২৭৬.৫ ওযাট।
সূর্য থেকে আমরা যে এত শক্তি পাই তার কারণ এই নয় যে, গ্যাসপিন্ডের প্রতি একক আয়তনে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপাদিত হয়, বরং প্রকৃত সত্য যে সূর্যের আয়তন অনেক বেশি। একক আয়তনে শক্তির পরিমাণ অনেক কম হলেও সমগ্র আয়তনে সংখ্যাটি অনেক বড় হয়ে যায়। তাই বলা যায় যে সূর্য পৃথিবীর থেকে তের লক্ষ গুন বড় এবং পৃথিবীর পৃষ্টতলের সকল শক্তির মূল উৎসই সূর্য।
মৌলের গাঠনিক একক হলো পরমানু। পরমানুর তিনটি অংশ— ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। তাই প্রোটন হচ্ছে পরমানুর একটি মৌলিক কণা, এটি ধনাত্মক তাড়িৎ আধান বহন করে।
সমস্ত বস্তু পরমানু দ্বারা গঠিত। পুর্বেই বলা হয়েছে— মৌলের গাঠনিক একক হলো পরমানু। ইহার তিনটি অংশ হলো ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন। প্রোটন ও নিউট্রন একসাথে পরমানুর কেন্দ্রে অবস্তান করে, যাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের চারপাশে ইলেকট্রন নির্দিষ্ট বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে। ইলেকট্রন বা তড়িৎ আধান ঋনাত্মক চার্জযুক্ত, প্রোটন ধনাত্মক চার্জযুক্ত এবং নিউট্রন চার্জহীন। যেহেতু একটি নির্দিষ্ট মৌলের পরমানুতে নির্দিষ্ট ও সমান সংখ্যক প্রোটন ও নিউট্রন থাকে, তাই পরমানু সর্বদা চার্জ নিরপেক্ষ। এখন আলোচনা করব সিলিকন নিয়ে, সিলিকন একটি মৌল। সিলিকনের ১৪টি ইলেকট্রন ১৪টি প্রোটন ১৪টি নিউট্রন আছে। এই সিলিকনের ধর্ম হলো সূর্যের আলোর প্রোটনকে আকর্ষণ করা। সিলিকন মৌলের আকর্ষিত প্রোটন পেয়ে ইলেকট্রন প্রবাহিত হতে থাকে, এই প্রবাহই হলো কারেন্ট বা বিদ্যুৎ। তাই কারেন্টের সংগায় বলা যায়— পরিবাহির যে কোন প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রন বা তড়িৎ আধান সমূহের প্রবাহিত হওয়াকে কারেন্ট বলা হয়। আমরা এখানে কারেন্ট উৎপত্তির ইতিহাস জানতে পারলাম। এখানে উদাহরন হিসাবে বলা যায়— একটি জল ট্যাংকিতে কিছু জল এসে পড়েছে। এখানে বোঝানোর জন্য জলপ্রবাহ হলো কারেন্ট বা মুক্ত ইলেকট্রন বা তড়িৎ আধান প্রবাহ। আর পাইপ হলো পরিবাহি বা কন্ডাক্টর বা তার। তাই বুঝানোর সার্থে বলা যায় যে, পাইপের মধ্যো দিয়ে পানি প্রবাহ হওয়া আর তারের মধ্যো দিয়ে কারেন্ট বা বিদ্যুৎ প্রবাহ হওয়ার মতই। আবার কারেন্ট প্রবাহের পরিমাপ হিসাব রাখার জন্য একক ধরা হয়েছে ভোল্ট বা চাপ, এম্পিয়ার, ওহম বা রেজিস্টান্ট বা রোধক বা বাঁধা। কারেন্টের একক হলো এম্পিয়ার বা কুলম্ব/সেকেন্ড।
ভালভাবে বোঝার জন্য চিত্রটি লক্ষ করি—
এখানে, লাল গেঞ্জি পরিহিত কাটুন পাইপে বাঁধার পরেও যতটুকু ঢুকে গেছে এটাই হলো কারেন্ট বা এম্পিয়ার, আরেক লাল গেঞ্জি পরিহিত কাটুন পিছন থেকে যতটুকু ধাক্কা বা চাপ দিচ্ছে তাহাই হলো কারেন্টের ভোল্ট, অপরদিকে উপরে সবুজ গেঞ্জি পরিহিত কাটুন রশি দিয়া কারেন্টকে ঢুকতে বাধাঁ দিচ্ছে তা হচ্ছে রেজিস্টান্স বা ওহম বা রোধক।
বাস্প ইঞ্জিনের উদ্ভাবক জেমস ওয়াট এর সম্মানসুচক নামানুসারে বিদ্যুতের ইউনিটের পরিমাপের একক হিসাবে নামকরণ করা হয় ওয়াট হিসাবে। ১ ঘন্টায় ১০০০ ওয়াট শক্তির কাজকে ১ কিলোওয়াট– ঘন্টা kwh শক্তি বলা হয়। আবার ৭৫০ ওয়াটের সমানকে বলা হয় এক অশ্ব শক্তি বা এক ঘোড়া শক্তি। পাম্প মটরগুলোর শক্তি ১ ঘোড়া, ২ ঘোড়া শক্তি হিসাব ধরা হয়। এখানে কাজ করার ক্ষমতাকে শক্তি বলা হয়।
ইতিপূর্বেই জেনেছি যে, সূর্যের আলোতে আছে প্রোটন । এবং সিলিকন মৌলের ধর্মই হলো সূর্যের আলোর প্রোটনকে আকর্ষন করা। আকর্ষিত প্রোটন পজিটিভ চার্জযুক্ত হওয়ায় সিলিকনের ইলেকট্রন নেগিটিভ চার্জযুক্ত থাকায় এ বিক্রিয়ায় মডিউলের গঠনে ফিতা আকৃতির সিলিকনের ফিউশনের মধ্যো দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহ ঘটতে থাকে, মডিউলের গঠনের ফিতা আকৃতির সিলিকনের ফিউশনের সাথে জাংশন বক্সে যুক্ত থাকে একঠি নেগিটিভ প্রব ও একটি পজেটিব প্রব। এ প্রবের মধ্যো দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহই হলো কারেন্ট বা বিদ্যুৎ। এখানে মডিউলের প্রবের যুক্ত পয়েন্টারে রেকটিফায়ার ব্যবহার করে মডিউল থেকে ডিসি কারেন্ট পেয়ে থাকি। সূর্যের আলো থেকে সোলার প্যানেল বা মডিউলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি সূর্যের আলোর রুপান্তর প্রক্রিয়া।
মানুষ প্রাকৃতিক শক্তিকে কৃতিমভাবে অহরহ বিভিন্নরুপ রুপান্তর প্রক্রিয়ায় তাদের ব্যবহারিক জীবন অনেক সমৃদ্ধি করেছে। যেমন ধরা যাক ‘মাইক্রোফোন’ — যা শব্দ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রুপান্তর করে তারের মধ্যো দিয়ে প্রবাহ ঘটায়। আবার ‘ইয়ারফোন’ – যা পুর্বের রুপান্তরিত বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রুপান্তরিত করে শব্দ কণাকে বাতাসের ইথারের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। এভাবে মাইক্রোফোন ও ইয়ারফোন সাউন্ড সিস্টেমের সাথে ব্যবহার করে শব্দ তরঙ্গ আদান—প্রদান করা হয়ে থাকে। এভাবে প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ অগনিত রুপান্তর করে । এ রুপান্তর শুধু মানুষই ঘটায়না, বরং প্রাকৃতিগতভাবে উদ্ভিদজগতেও রুপান্তর ঘটে থাকে।
উদ্ভিদ প্রকৃতিকভাবে সালোকসংশ্লেষণ প্রকৃয়ায় সূর্যের আলো থেকে প্রাপ্ত শক্তিকে তারা রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করে তাদের খাদ্য গ্রহন করে। অর্থাৎ পাতার ক্লোরোফিলের মাধ্যমে সৌর শক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি রুপান্তর করে। যেমন —অক্সিজিন ও সল্প পরিমাণ কার্বন যৌগ পরিণত করে।
অপরিপক্ষে প্রাণীজগৎ শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন থেকে গ্লূকোজ এবং গ্লূকোজ থেকে ক্যালোরী তাপমাত্রায় রূপান্তর করে সুবিধাভোগী হয়। মানবদেহে ১ গ্রাম গ্লূকোজ থেকে ৬৮৬ ক্যালোরী তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়।
এ গবেষণা পত্রে কয়েকটি রূপান্তরের কথা বললাম। এভাবে প্রাকৃতিকভাবে ও কৃত্রিমভাবে কোটি কোটি রুপান্তর ঘটে থাকে যা অনেকটাই আমাদের জানার বাইরে।
বিদ্যুৎ থেকে তাপ—
বিদ্যুৎ থেকে তাপ কল্পনা করতে গেলেই যে পদার্থের নাম চলে আসে তা হলো— নাইক্রোম। তাহলে বলতে পারি— ইলেকট্রিসিটি গরম বা তাপ হতে যে তার সাহায্য করে তাকে নাইক্রোম বলে।
বৈদ্যতিক হিটারে নাইক্রোম তারের কুন্ডলী ব্যবহার করা হয়। নাইক্রোম হলো— নিকেল(ঘর), ক্রোমিয়াম(ঈৎ) ও আয়রনের(ঋব) দিয়ে তৈরি সংকর ধাতু। এই সংকর ধাতুটি উচ্চ রোধাঙ্কবিশিষ্ট। জুলের সুত্রানুযায়ী রোধাঙ্ক বেশি হওয়ায় তড়িৎপ্রবাহে তাপের প্রবাহ বেশি হবে। নাইক্রোম তারের গলনাঙ্ক বেশি হওয়ায় এই উষ্ণতায় তারটি গলে যায় না এবং এটি বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয় না। ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। হিটারে নাইক্রোম তারকে কুন্ডলীর আকারে বসানো থাকার কারণ হলো— এই অবস্থায় তারটি দৈর্ঘ্য বেশি হয় এবং পৃষ্টতলের ক্ষেত্রফল বেশি হওয়ায় তাপ সঞ্চালন পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়।
গবেষনার এ পযার্য় বলা যায়— সুের্যর আলো থেকে বিদ্যুৎ ও তাপ আমাদের পরিবেশ থেকে নেয়া একটি বিষয়। আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ। পরিবেশ দু’প্রকার— প্রাকৃতিক পরিবেশ ও কৃত্রিম পরিবেশ। প্রাকৃতিক পরিবেশ হলো— পাহাড়—পর্বত, আকাশ—বাতাস, চন্দ্র—সুর্য ইত্যাদি। পক্ষান্তরে কৃত্রিম পরিবেশ হলোঃ ঘর—বাড়ী, রাস্তা—ঘাট, শহর—মাঠ, দোকান—অফিস, মানুষের গড়া সৌন্দর্যময় ও ব্যবহার উপযোগি জিনিষ বা আসবাপত্র ইত্যাদি। আমরা যা কিছু অর্জন করি এ পরিবেশ থেকেই। কেহ ধনি হয় এ পরিবেশ থেকে কিছু গ্রহনের মাধ্যমে, আবার কেহ গরিব হয় এ পরিবেশ থেকে কিছু গ্রহনের মাধ্যমে। এ জন্য দায়ী মানুষের ইচ্ছা শক্তি। এ ইচ্ছা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা বড়ই কঠিন কাজ। এ কঠিন কাজের জন্যই রয়েছে দুনিয়ায় জেল—জরিমানা। আখেরাতে রয়েছে বেহেস্ত—দোযোখ। আসুন আমরা আরও বৈচিত্রময় রুপান্তর ঘটিয়ে পরিবেশকে সুন্দর, আরামদায়ক ও বৈচিত্রময় করে গড়ে তুলি।